দুই থেকে তিন মাসের ব্যবধানে, বাজারে শিশু খাদ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। ন্যান, সেরেলাক, বায়োমিল, প্রাইমাসহ পরিচিত ব্র্যান্ডগুলোর দাম প্যাকেট প্রতি একশ থেকে তিনশ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক পরিবার। আমদানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কম সময়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি স্বাভাবিক নয়। আর পুষ্টিবিদরা, এসব খাবারের বিকল্প খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন।
নয়ন-নাদিয়া দম্পতির ৬ মাসের শিশু ফায়াজ আমহেদ। জন্মের পর থেকে বুকের দুধ কম পাওয়ায়, ন্যান ব্রান্ডের ফর্মুলা দুধ দেওয়া হয় তাকে। এতে মাসে ৮ প্যাকেট ন্যান কিনতেই পরিবারটির ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। দুই মাস আগেও এই খরচ ছিল ৮ হাজার টাকা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, সব ব্রান্ডের শিশুখাদ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। মাস দুয়েক আগে ৪০০ গ্রামের ন্যানের প্যাকেট ৯৮০ টাকা ছিল, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ টাকায়। বায়োমিল ৫০ টাকা দাম বাড়িয়ে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সেরেলাক, নিডো, পিডিয়াসিওর, ল্যাকটোজেন, হরলিক্স, ডানো, সিমিল্যাক ও মাকর্সসহ সব ধরনের আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে।
আমদানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকট, পরিবহন খরচসহ নানা কারণে শিশুখাদ্যের দাম বাড়তে পারে। তবে ৩০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি স্বাভাবিক নয়। বিএসসিএমএসের সভাপতি নকীব খান বলেন, “বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ঘটছে। ডলারের দাম অনেক বেড়ে গেছে। পাশাপাশি উৎপাদন খরচও বাড়ছে। মূলত এসব কারণেই দাম বাড়ছে। অতিপ্রয়োজন ছাড়া এসব পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমানোর পক্ষে পুষ্টিবিদরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, “মায়ের দুধের পাশাপাশি, ৬ মাসের বেশি বয়সের শিশুদের বিকল্প খাবারে অভ্যস্ত করা প্রয়োজন। বিশ্ববাজারে ২০২২ সালের মার্চের তুলনায় এখন গুড়ো দুধের দাম ১৮ শতাংশ কম। তারপরও দেশের বাজারে দাম বাড়তি।
Leave a Reply