“ছেড়ি হলো আমার ছেলের ঘরের নাতনি, আমি হজ্ব করে আসছি। এই ছেড়ির দ্বারা মানিকদিয়ার একটি মানুষও সুখে থাকতে পারে না। যারে মন চায় তারেই মামলা দেয়, বাড়িঘরে গিয়ে মারধর করে। আমার বাড়িতে এসে আমাকেই মারে। একটা পুরুষ লোকও মান-সম্মানের ভয়ে বাড়ির বাহিরে যেতে পারে না। ছেড়ির নাম আছিলো শান্তা, ছেড়ি হইসে মাহি সরকার। ছেড়ি পাঁচটা বিয়ে হইসে। পাঁচখান থেকে পচিঁশ লাখ টাকা আনসে। এখন যারে খুশি তারেই মামলা দেয়”-বললেন মাহি সরকারের বাবা আমজাদ হোসেন এর আপন চাচী।
“কথা বললেই মামলা, তর্ক করলেই মামলা। জালজালিয়াতির মামলা দিয়ে মানিকদিয়ার মানুষকে অস্থির করে তুলেছে এই মাহি সরকার”-বললেন ইমান আলী (মাহি সরকারের জেঠা) ।
বিভিন্ন কৌশলে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে ছবি তুলে, প্রভাব খাটিয়ে যুব মহিলা লীগের সবুজবাগ থানার সভাপতি হিসেবে দাবি করে দাপিয়ে বেড়ান সর্বত্রে।
ফাতেমা আক্তার শান্তা ওরফে মাহি সরকার এর সাথে তার স্থায়া ঠিকানায় যোগাযোগ করে না পেয়ে তার ব্যক্তিগত মোবাইল (০১৭৭***৮৫৯২, ০১৪৭০***৯৮১) ও তার বাবা মো: আমজাদ হোসেন এর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার (০১৭২১২৬৮৪৩৫, ০১৭১২১৩১২৮৭)-এ বারবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায় নি। ফোন ছিল বন্ধ। এদিকে হঠাৎ ২২ শে মার্চ অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে ফোন করে নিজের পরিচয় দিয়ে মাহি সরকার ধমকের সুরে বলেন- “আমি সবুজবাগ থানা মহিলা যুবলীগের সভাপতি”। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সবুজবাগ থানার ৭২,৭৩,৭৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক নাসরিন আহমেদ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন- এই মাহি সরকার যুব মহিলা লীগের কেউই নন।
মাহি সরকার বলেন-আমার প্রতিপক্ষ আমাকে হেনস্তা করার জন্য আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা করেছে। আমিও তাদের বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা করেছি। প্রয়োজনে প্রমানসহ হাজির করবো। আপাদত দুটি মামলার কপি আপনাকে পাঠালাম। চলবে…..
Leave a Reply