ভয়াবহ বন্যায় লিবিয়ার ডেরনা শহরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৩০০ জনে পৌঁছেছে। নিখোঁজ রয়েছে দশ হাজারেরও বেশি মানুষ। গতকাল শুক্রবারও শহরের বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার অভিযান চলছিল। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত রবিবার ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে ডেরনা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরের একটি বাঁধ প্রথমে ধসে যায়। এরপর আরেকটি বাঁধ এবং চারটি সেতু ভেঙে শহরটি তলিয়ে যেতে থাকে। দ্রুত পানি বাড়তে থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে শহর তলিয়ে যায়। এতে বিভিন্ন অবকাঠামো ধসে ১৩ ফুট উঁচু ধ্বংসস্তূপ জমা পড়েছে।
ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আরো বহু মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের কারণে বিভিন্ন উদ্ধার সরঞ্জাম ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে উদ্ধারকর্মীদের জন্য। ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রিসেন্টের (আইসিআরসি) লিবিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান ইয়ান ফ্রিদেজ বলেন, ‘বিপর্যয়টি ছিল খুবই ভয়ানক। ২৩ ফুট উঁচু ঢেউ এসে শহরের বহুতল ভবনগুলো নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।
অবকাঠামোগুলো সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এখন পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ, বহু মৃতদেহ সমুদ্রতীরে ভেসে উঠেছে, ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।’ ডেরনা শহরের মেয়র আব্দেল মনীম আল-ঘাহথি বলেন, নিহতের সংখ্যা দুই হাজারে পৌঁছাতে পারে। বন্যায় বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আচমকা পানির স্তর বেড়ে যায়।
’ বন্যায় তিনি তার মায়ের সঙ্গে ভেসে গিয়েছিলেন। বহু কষ্টে তারা প্রাণে বেঁচে গেছেন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আহত আরেক বাসিন্দা বলেন, পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ভবনের উপরের তলায় যেতে থাকি। উঠতে উঠতে চতুর্থ তলায় চলে যাই। সেখানেও পানি পৌঁছে গিয়েছিল।
Leave a Reply