কম খরচে বিশ্ব মানের চিকিৎসাসেবা দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশে আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারতের কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এরইমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও খুলনার মতো বিভাগীয় শহরগুলোতে শুরু হয়েছে জায়গা নির্বাচনের কাজও।
ডিসান নামে বেসরকারি ওই হাসপাতালটি কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হলেও, এতদিন সেখানে বাংলাদেশী রোগীদের জন্য ছিল না বিশেষ চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র। যদিও সম্প্রতি তারা বাংলাদেশী রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে শুরু করেছে।
কলকাতার বাইপাস লাগোয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোড়ের পাশে যে বেসরকারি হাসপাতাল পল্লি গড়ে উঠেছে, সেখানেই অবস্থিত এই ডিসান হাসপাতাল। প্রতিদিন হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসেন হাজারো মানুষ। ২০০৮ সালে ৩০০ শয্যা দিয়ে যাত্রা শুরু হওয়া ডিসান এখন ৭৫০ শয্যার এক আধুনিক হাসপাতাল। সেখানে বিভাগ রয়েছে ৪৫টি, রয়েছে ৮টি বিশেষায়িত শাখাও। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা, উন্নত প্রযুক্তি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের দৌড়েও অনেক হাসপাতালের চেয়ে এগিয়ে এটি।
ঠিক এমন এক বাস্তবতায় এবার তাদের চোখ বাংলাদেশে। কলকাতার আদলে দেশেও ডিসান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একই ধরনের একটি আধুনিক হাসপাতাল গড়তে চায়। যেখানে অল্প খরচে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা মিলবে সাধারণ মানুষের।
“এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসান হাসপাতালের সি এম ডি সজল দত্ত বলেন, চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়া ৫০ শতাংশের বেশি বাংলাদেশি ভারতেই আসেন। এ জন্য কেন বাংলাদেশ থেকে আসতে হবে, কেন সেখানেই চিকিৎসা করা যাবে না ! এ চিন্তা থেকেই আমাদের এমন উদ্যোগ। তিনি আরও বলেন, আমাদের যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, আমরা সেটা কলকাতায় করছি; তার থেকে কোন অংশে কম হবে না (বাংলাদেশে হাসপাতাল করলে)। ঢাকায় কিংবা চট্টগ্রাম, খুলনা বা সিলেটে যদি হাসপাতালটি করা হয় সেটা কোনভাবেই কলকাতায় আমাদের যে হাসপাতাল আছে তার থেকে ছোট কিছু হবে না । “
ভারতের ন্যাশনাল অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড ফর হসপিটাল অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার্স স্বীকৃত বেসরকারি এই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ মনে করে, একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল তৈরি করার জন্য অন্তত পাঁচ বছর সময় প্রয়োজন। আর তাই বাংলাদেশে পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশে হাসপাতালটির কার্যক্রম চালুর অনুমোদন পেতে এই সময় লাগতে পারে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এই চিতিৎসাকেন্দ্রটি হলে, তা হবে কেবলই সাধারণ মানুষের জন্য।
Leave a Reply