গত (শুক্রবার) রাতে মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২০১২ জনে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছে ২০৫৯ জন।আজ (রোববার) ১০ সেপ্টেম্বর দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। আহত অনেকের অবস্থা আসঙ্কাজনক বলে বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দেশটিতে এত প্রাণহানির ঘটনায় ৩ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরীপ (ইউএসজিএস) বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিঃ মিঃ দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিঃ মিঃ গভীরে। বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১ টা ১১ মিনিটে ভূমিকম্প আঘাত হানার পর লোকজন ঘড়বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। ভূমিকম্পটির ১৯ মি. পর আবার ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূ- কম্পন অনুভূত হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও রাস্তায় ধ্বংসস্তূপের ভিডিও দেখা যাচ্ছিল। তবে লোকজনকে সতর্ক সংকেত শুনে ঘড়বাড়ি ছেড়ে পালাতে দেখা গেছে। একজন স্থানীয় কর্মকর্তা তার এলাকাতে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন।
মারাক্কেশ শহরের পুরানো অংশ কিছু ভবন ধসে পড়েছে বলে সেখানকার একজন অধিবাসী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। মরক্কোতে যেন মানবিক সহায়তা পাঠাতে সহজ হয়, সেজন্য আলজেরিয়া তাদের এয়ারস্পেস ব্যবহার করতে দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চলার পর ২০২১ সালে আলজেরিয়া মরক্কোর সঙ্গে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে ভূমিকম্পের পর আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ‘ভাতৃপ্রতিম মরক্কান মানুষকে সহায়তার জন্য’ তারা মানবিক সহায়তা ও লোকবল সরবরাহ করতে প্রস্তুত।
২০০৪ সালে দেশটির উত্তর-পূর্বের আল হোসেইমা অঞ্চলে ভূমিকম্পে ৬২৮ জন মারা গিয়েছিলেন। আর ১৯৬০ সালে আগাদির অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে অন্তত ১২ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন। মরক্কোর শুক্রবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আটলাস পর্বতমালার মধ্যে। ঐ অঞ্চলে এমন অনেক দুর্গম গ্রাম রয়েছে যেখানে পৌঁছানো যথেষ্ট কষ্টসাধ্য।
Leave a Reply