পরিস্থিতি বিবেচনায় লোডশেডিং করতেই হবে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোথায় কখন লোডশেডিং করা হবে তা এলাকাভিত্তিক শিডিউল করে জানিয়ে দেয়া হবে।
বুধবার (৬ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি সাশ্রয় করতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চালু করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু সময়ের জন্য (প্রতিদিন) বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে বলব, যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি সংরক্ষণ করা যায়।’
সবার ঘরে সরকার বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছিল এবং সবাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেল, ডিজেল, ভোজ্য তেল, সারের দাম বেড়ে গেছে।
প্রত্যেকটা জিনিসের দাম কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেছে। শুধু তাই না, যেসব শিপমেন্ট হয় তার ভাড়াও বেড়ে গেছে। যেটা হয়তো ৮০০ কোটি টাকায় পেতাম সেটা এখন ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার কোটির বেশি লেগে যাচ্ছে। আমরা এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করতাম, তার দামও বেড়ে গেছে।’
‘বিদ্যুতে মোটা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে আমাদের। বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে খরচ আমরা কিন্তু গ্রাহকের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত সে খরচও নিতে পারি না। কিন্তু কত ভর্তুকি আমরা দেব? যেখানে সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা।
তাই আপনাদের অনুরোধ করবো বিদ্যুৎ ব্যয়ে সাশ্রয়ী হবেন, সীমিত রাখবেন। তাতে আপনারও লাভ হবে। আপনার বিলও কম ওঠবে।’
Leave a Reply