নোয়াখালীর সদরে একই বাড়ির তিন পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে ঘরের মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (১১ এপ্রিল) মধ্যরাতে চরমটুয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুর গ্রামের সুরেশ মাস্টার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ভোরে অচেতন অবস্থায় ১০ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থরা হলেন- নরেশ চন্দ্র চৌধুরী, শংকর চৌধুরী, অনিক চৌধুরী, অন্তু চৌধুরী, শেফালি রানী দেবী, অর্চনা রানী, সঞ্জিতা রানী, চম্পা রানী, নমিতা রানী ও সঞ্জয় চৌধুরী।
ওই বাড়ির মাস্টার পিযুষ চৌধুরী জানান, তাদের বাড়িতে মোট ৫টি পরিবার রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই একে অন্যের আত্মীয়-স্বজন।
প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সন্ধ্যায় রান্না শেষ করে রান্না ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে সবাই বসত ঘরে চলে যায়। পরে রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে সবাই যে যার মতো শুয়ে পড়েন।
ভোর ৪টার দিকে তার চাচাতো ভাই সঞ্জয় চৌধুরী অবচেতন অবস্থায় তাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবগত করেন। পরে দ্রুত তিনি তাদের ঘরে গিয়ে সবাইকে এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখেন। অনেক ডাকাডাকির পরও কারো কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না।
ধারণা করা হচ্ছে, রান্না ঘরে থাকা খাবারের সঙ্গে দুর্বৃত্তরা নেশাদ্রব্য মিশিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই তিনজনের ঘর থেকে মূল্যবান মালামাল লুট হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply