কয়রায় ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে অবৈধভাবে মাছ ধরার সরঞ্জামাদি সহ আটক ২
শাহিদুল ইসলাম
-
আপডেট সময়ঃ
শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০
-
৭৪৬
বার পড়া হয়েছে
64bangla tv
খুলনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব, এস.এম শফিউল্লাহ (বিপিএম) মহোদয়ের নির্দেশনায় জিএম আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এর সার্বক্ষণিক তত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখা, খুলনার অফিসার ইনচার্জ সেখ কনি মিয়া এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) গোপাল চন্দ্র রায় ও এসআই (নিঃ) মোঃ নাজমুল হক সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ ২৮/০৮/২০২০ খ্রিঃ তারিখ কয়রা থানাধীন সুন্দরবন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে কয়রা থানাধীন বাইনতলা খাশিটানা নদীর পশ্চিম পার্শ্বে খালের মধ্যে কিছু অসাধু ব্যাক্তি খালে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছে। উক্ত সংবাদের নিমিত্তে তাৎক্ষনিকভাবে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ ট্রলার যোগে দ্রুত রওনা হয়ে ২৯/০৮/২০২০ তারিখ রাত্র ০১.১০ ঘটিকার সময় কয়রা থানাধীন বাইনতলা খাশিটানা নদীর খালের মধ্যে উপস্থিত হইলে আসামীগন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় আসামি ১। মোঃ বারী মোড়ল (৩৫), পিতা- রাজ্জাক মোড়ল, ২। মোঃ আনিসুর রহমান (২২), পিতা- মোঃ আতিয়ার রহমান, উভয়সাং-আংটিহারা, থানা-কয়রা, জেলা-খুলনাদ্বয়কে ধৃত পূর্বক তাদের হেফাজত হতে আলামত ক) কাঠের তৈরী মাছ ধরার ছোট ০৪ (চার) টি ডিঙ্গি, খ) বিভিন্ন সাইজের ০৭ (সাত) ভেসাল মাছ ধরার জাল, যাহা অনুমান ১০০০ (এক হাজার) ফুট ও ০১ (এক) টি খেপলা জাল, গ) ছোট ও বড় চিংড়ি মাছ (যাহা বিষ দিয়ে ধরা), যাহার ওজন অনুমান ৭০০ (সাতশত) কেজি, ঘ) ০২ (দুই) টি প্লাষ্টিকের বিষের বোতল, যাহার গায়ে কট্ ১০ ইসি ১০০ এমএল লেখা আছে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় ২৯/০৮/২০২০ তারিখ রাত্র ০৩.২০ ঘটিকার সময় টর্চ লাইটের আলোতে বিধি মোতাবেক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন। এ সংক্রান্তে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখা, খুলনা ও বন বিভাগের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদ গুলোর মধ্যে মাছ অন্যতম। সুন্দরবনের বুকের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদী ও খালের প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। জেলেরা অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ জাল ও কীটনাশক ব্যবহার করে মাছ আহরন করে থাকে। উক্ত কারণে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে যে সমস্ত নদ-নদী ও খাল রয়েছে সে সমস্ত নদ-নদী ও খালের আহরণের উপযোগী মাছ ব্যতীত সকল মাছের রেনু, পোনার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। কিছু কুচর্ক্রী জেলে মহল সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে অবৈধ কীটনাশক ব্যবহার করে সকল প্রকার মাছের রেনু, পোনার ব্যাপক ক্ষতিসহ প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করছে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্টকারী, ক্ষতিসাধনকারীদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ, খুলনার অবস্থান জিরো টলারেন্স। যারা এ সমস্ত কাজে জড়িত তাদের প্রত্যেকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।
দয়া করে খবরটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply