1. site@64bangla.tv : admin64bangla : হেড অব নিউজ
  2. ownreporter1@64bangla.tv : নিজস্ব প্রতিবেদক : নিজস্ব প্রতিবেদক
রাণীশংকৈলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার অভিযোগ - ৬৪ বাংলা টিভি
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

রাণীশংকৈলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময়ঃ রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১
  • ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
64bangla.tv
64bangla.tv
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রামপুর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে আজমুল হক সাংবাদিকদেরকে অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান নিজ ক্ষমতায় ট্রেড লাইসেন্স নিজ লোকজনদেরকে দিচ্ছেন। এ ছাড়া অন্যদেরকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না বরং হয়রানি করা হচ্ছে। আমি নিজে ট্রেড লাইসেন্স নেয়ার জন্য পাঁচ দিন কাউন্সিল অফিসে গেছি কিন্তু দিব দিব করে আমাকে দেয়নি। অথচ অন্যদেরকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে একদিনে লাইসেন্স দিয়েছে। সরেজমিনে রামপুর বাজারে গিয়ে জানা গেছে,ইউপি চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলাম ট্রেড লাইসেন্সের জন্য দোকান প্রতি ৫০০ টাকা করে ফি নিয়েছেন। জওগাঁও গ্রামের বকতিয়ার রহমানের ছেলে মাহমুদুর রহমান, রামপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে মেহেদী হাসান, রামপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে মিলন সহ স্থানীয় আরো অনেক দোকানদার অভিযোগ করে বলেন,এবার ট্রেড লাইসেন্স করতে আমাদের কাছে জন প্রতি৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে । কিন্তু গত বছরে আমরা এই লাইসেন্স করেছিলাম ২২০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। ট্রেড লাইসেন্সে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার ব্যাপারে রামপুর বাজারের দোকানদারদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বলেন,আমরা চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করেছি,উত্তরে তিনি বলেছেন লাইসেন্সের জন্য ৫০০ টাকা করেই লাগবে। না দিলে লাইসেন্স দিব না,আপনারা কিভাবে দোকানঘর করবেন আমি দেখব। এ সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা ফারুক আহমেদ অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি সমর্থন করেন। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এবার ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র ও খরচ বাবদ ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমার ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশরা এ বিষয়টি ভালোভাবে বলতে পারবেন। ৫০০ টাকার ভাউচার দেওয়ার বিষয়টি চেয়ারম্যান কৌশলে এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে গ্রামপুলিশ আবু তালেবের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন আমি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছি। এখানে লাইসেন্স বাবদ ২৩০ টাকা,৩০ টাকা ভ্যাট ও বাকী ২৪০ টাকা অন্যান্য খাতে নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা বলেন,দোকানদারদের ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানের এখতিয়ারে, তবে,রামপুর বাজারে লাইসেন্সধারি প্রকৃত দোকানদাররা যাতে ঘর বরাদ্দ পান সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করবো। প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রামপুর বাজারে অবৈধ ভাবে স্থাপিত দোকানগুলি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে মোট দোকান ছিল ৯০ টি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান প্রায় ১৫০ টিরও বেশি ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

দয়া করে খবরটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© ৬৪বাংলা.টিভি, ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed By Madina IT