নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদকের বিষাক্ত ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বদ্ধ পরিকর। আবারো ডিএনসি’র দেশব্যাপি অভিযানে টেকনাফ, মাদারীপুর, নোয়াখালী, গাইবান্ধা, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও কুমিল্লায় বিপুল পরিমান মাদক ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও গাঁজা উদ্ধার

টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪০ হাজার পিস (অ্যামফিটামিনযুক্ত) ইয়াবাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর টেকনাফ ডিএনসি। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ১২ টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত টেকনাফ পৌর এলাকা ও হ্নীলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ডিএনসি’র সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ পৌরসভার হোটেল দ্বীপ প্লাজায় অভিযান চালিয়ে সদর ইউনিয়নের ডেইলপাড়া এলাকার শামশুল আলমের ছেলে মোঃ শফিক (১৯) কে ও আলতাজ আহমদের ছেলে আল শাহাদাত (২৫) কে ১০ (দশ) হাজার পিস ইয়াবা এবং রহিঙ্গা সৈয়দ নূর (২২) কে আরো (দশ) ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয় ও কায়ুকখালী পাড়া এলাকার মৃত মুজাহার মিয়া উরফে মুজাহার কন্ট্রাকটরের ছেলে সোহেল রানাকে ২০ (বিশ) হাজার পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে ধৃত সোহেল রানা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ২০ হাজার পিস ইয়াবার মালিক একই এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবুবক্কর ছিদ্দিক উরফে মুসম্মনি (৪১) এর নাম স্বীকার করেছে। আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত-২০২০) অনুযায়ী  পৃথক পৃথক নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয় বলে জানা যায়।

এদিকে মঙ্গলবার ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, মাদারীপুর এর উপপরিচালক মোঃ আসলাম হোসেন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, পরিদর্শক বিমল চন্দ্র বিশ্বাস এর নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি রেডিং টিম মাদারীপুর সদর থানাধীন ঘটকচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাথী বেগম (৪৮) কে ৯৫০০ (নয় হাজার পাঁচশত) পিস ইয়াবা সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এসময় রেডিং টিম এর উপস্থিতি টের পেয়ে সাদ্দাম হোসেন (২৫) পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক বিমল চন্দ্র বিশ্বাস বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন বলে জানা যায়।

অন্যদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ এর নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ মডেল থানাধীন উত্তর ঘটলা সরদার বাড়ির ২ নং ওয়াইজ ১৬ নং কাদীরপুর ইউপির মোহাম্মদ ইস্মাইল হোসেন এর একতলা বিশিষ্ট পাকা বিলডিং ঘরে তল্লাশি করে মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (৩৫) কে ১,০০০ (এক হাজার) পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এইসময় রেডিং টিম এর উপস্থিতি টের পেয়ে মোহাম্মদ সেলিম হোসেন প্রকাশ (হ্নদয়) পালিয়ে যায়। আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত-২০২০) অনুযায়ী  একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয় বলে জানা যায়।

এছাড়াও মঙ্গলবার ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় গাইবান্ধার উপপরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল মান্নাফ কবির এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে একটি টিম গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন বাদ্দার খান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৫ (পচিঁশ) বোতল ফেনসিডিল সহ ১ জনকে গ্রেফতার করে। উপপরিদর্শক মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত-২০২০) অনুযায়ী গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন বলে জানা যায়।

এদিকে মঙ্গলবার ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় ঝিনাইদহ এর সহকারী পরিচালক গোলক মজুমদার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিদর্শক বিশ্বাস মফিজুল ইসলামসহ বিভাগীয় স্টাফদের সমন্বয়ে গঠিত একটি রেইডিং টিম সকাল ১১.০০ টায় ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার কোরা পাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মোঃ লালু,(৫৬) কে ১ (এক) কেজি গাঁজাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। আসামীর বিরুদ্ধে পরিদর্শক বিশ্বাস মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ঝিনাইদহ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন বলে যানা যায়।

অন্যদিকে মঙ্গলবার ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর উপপরিচালক মোঃ আনিসুর রহমান খান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, পরিদর্শক মোঃ ইলিয়াস হোসেন তালুকদার এর নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি টিম সদর মডেল থানাধিন টিক্কা এলাকায় বাইসাইকেল এ পরিবহনকালে ২৪ বোতল ফেন্সিডিল সহ মোঃ আলাউদ্দিন (৬০) কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। আসামীর বিরুদ্ধে পরিদর্শক মোঃ ইলিয়াস হোসেন তালুকদার বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ (সংশোধনী ২০২০) অনুযায়ী একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন বলে যানা যায়।

অপরদিকে (মঙ্গলবার) ৭ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ডিএনসি জেলা কার্যালয়, মুন্সিগঞ্জ এর একটি টিম বেলা ১১:০৫ ঘটিকা হইতে ১২:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত  লৌহজং উপজেলার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল আউয়াল এর উপস্থিতিতে মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনাকালে, লৌহজং থানাধীন খেতেরপাড়া এলাকাস্থ অভিযুক্ত আসামীদ্বয়(১) মোঃ শেখ রাসেল (৪৫) পিং শেখ আলাউদ্দিন  (২) মোঃ হ্নদয় (২৬) পিং আবুল মল্লিককে গাঁজাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। আটক পূর্বক  বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসামীদেরকে ৩(তিন) মাস ৫(পাঁচ) দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড  প্রদান করেন  এবং আরেক অভিযানে খেতেরপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত আসামী মোঃ ফিরোজ শেখ(৩৬) পিং মৃত সেকান্দার শেখ কে ১ (এক) কেজি গাঁজা ও গাঁজা বিক্রয়লব্ধ বাংলাদেশী ৩২০০/=টাকা উদ্ধার করে।  পরিদর্শক মোঃসাইফুল ইসলাম ভূঁঞা বাদী হয়ে লৌহজং থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত-২০২০) অনুযায়ী  একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন বলে জানা যায়।

অন্যদিকে মঙ্গলবার ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় কুমিল্লা এর সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সার্বিক তত্বাবধানে ও পরিদর্শক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ভূঞা এর নেতৃত্বে সদর দক্ষিণ থানার সাকিল আবাসিক হোটেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১) মোঃ শাহীন (২৭), পিতাঃ মৃত  রফিক মিয়া , সাং- জোড়কানন, থানাঃ সদর দক্ষিণ, ২) মো: রাসেল (২৫), পিতা: মৃত রূপ মিয়া, সাং- বড়জ্বালা, থানা: কোতয়ালী, জেলাঃ কুমিল্লা’ দ্বয়কে ৫০ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। আসামীদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ভূঞা বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত-২০২০) অনুযায়ী সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন বলে জানা যায়।