1. site@64bangla.tv : admin64bangla : হেড অব নিউজ
  2. ownreporter1@64bangla.tv : নিজস্ব প্রতিবেদক : নিজস্ব প্রতিবেদক
রাণীশংকৈলে রামপুর বাজারে ঘর বরাদ্দের নামে চলছে ট্রেড লাইসেন্স নেয়ার মহোৎসব - ৬৪ বাংলা টিভি
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন

রাণীশংকৈলে রামপুর বাজারে ঘর বরাদ্দের নামে চলছে ট্রেড লাইসেন্স নেয়ার মহোৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময়ঃ মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ৪৭১ বার পড়া হয়েছে
64bangla tv
64bangla tv
রাণীশংকৈল,((ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে এলাকায় চলছে সমালোচনার ঝড়। সম্প্রতি রামপুর বাজারে অবৈধ উচ্ছেদ স্থাপনায় প্রকৃত ৯০ দোকান ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে নতুন করে ঘর বন্দোবস্তের কাজ চলছে। এতে প্রকৃত ৯০ টি দোকানদারকে ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার কথা থাকলেও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ৯০ জনের ট্রেড লাইসেন্স বাদেও আরো শতাধিক দোকান বিহীন জনগণকে টাকার বিনিময়ে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে। দোকান ঘর মিলবে বলে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে চলছে ট্রেড লাইসেন্স নেয়ার মহোৎসব। এতে গভির ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রকৃত দোকানদাররা। রামপুর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে আজমুল হক সাংবাদিকদেরকে অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান নিজ ক্ষমতায় ট্রেড লাইসেন্স নিজ লোক জনদেরকে দিচ্ছেন। এ ছাড়া অন্যদেরকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না বরং হয়রানি করা হচ্ছে। আমি নিজে ট্রেড লাইসেন্স নেয়ার জন্য পাঁচ দিন ইউনিয়ন পরিষদে গেছি কিন্তু দিব,দিব করে আমাকে দেয়নি। অথচ অন্যদেরকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে একদিনে লাইসেন্স দিয়েছে। গতকাল সরেজমিনে রামপুর বাজারে গিয়ে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলাম ট্রেড লাইসেন্সের জন্য দোকান প্রতি ৫০০ টাকা করে ফি নিয়েছেন। জওগাঁও গ্রামের বকতিয়ার রহমানের ছেলে মাহমুদুর রহমান, রামপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে মেহেদী হাসান, রামপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে মিলন সহ স্থানীয় আরো অনেক দোকানদার অভিযোগ করে বলেন,এবার ট্রেড লাইসেন্স করতে আমাদের কাছে জন প্রতি ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত বছরে আমরা এই লাইসেন্স করেছিলাম ২২০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। ট্রেড লাইসেন্সে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার ব্যাপারে রামপুর বাজারের দোকানদারদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বলেন,আমরা চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করেছি, উত্তরে তিনি বলেছেন লাইসেন্সের জন্য ৫০০ টাকা করেই লাগবে। না দিলে লাইসেন্স দিব না, আপনারা কিভাবে দোকানঘর করবেন আমি দেখব। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এবার ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র ও খরচ বাবদ ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমার ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশরা এ বিষয়টি ভালোভাবে বলতে পারবেন।ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৫০০ টাকার ভাউচার দেওয়ার বিষয়টি চেয়ারম্যান কৌশলে এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে গ্রামপুলিশ আবু তালেবের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন আমি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছি। এখানে লাইসেন্স বাবদ ২৩০ টাকা, ৩০ টাকা ভ্যাট ও বাকী ২৪০ টাকা অন্যান্য খাতে নেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে একই উপজেলার নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন আমার ইউনিয়নের নেকমরদ হাটে আমিও দোকান ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছি কিন্তু এতো টাকা নেয়ার কোন নিয়ম নেই। ট্রেড লাইসেন্স ও ভ্যাট বাবদ ২৩০ টাকা এবং চকিদারী টেস্ক বাবদ ২০০ টাকা নেয়া যেতে পারে। এর থেকে বেশি দোকানদারদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কোন বিধান নেই। এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা বলেন, আমরা প্রকৃত দোকানদারদের কাছে ঘরের জন্য আবেদনে গত বছরের ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে আবেদন করলেই হবে বলে জানিয়েছি। নতুনকরে দোকানদারদের ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানের এখতিয়ার। তবে, রামপুর বাজারে লাইসেন্সধারি প্রকৃত দোকানদাররা যাতে ঘর বরাদ্দ পান সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করবো। প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রামপুর বাজারে অবৈধ ভাবে স্থাপিত দোকানগুলি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে মোট দোকান ছিল ৯০ টি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান প্রায় ১৫০ টিরও বেশি ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

দয়া করে খবরটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© ৬৪বাংলা.টিভি, ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed By Madina IT