1. site@64bangla.tv : admin64bangla : হেড অব নিউজ
  2. ownreporter1@64bangla.tv : নিজস্ব প্রতিবেদক : নিজস্ব প্রতিবেদক
দশমিনায় মানবিক কাজে প্রসংশিত হলেন দশমিনা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃজসিম - ৬৪ বাংলা টিভি
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫২ অপরাহ্ন

দশমিনায় মানবিক কাজে প্রসংশিত হলেন দশমিনা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃজসিম

ফয়েজ আহমেদ
  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৬০০ বার পড়া হয়েছে
64bangla tv
64bangla tv
মা দশ মাস দশ দিন বিজ্ঞান মতে নয় মাস চৌদ্দ দিন নিজ যঠরে রেখে,তিলে তিলে মানুষের রুপ দিলেন। যে মা প্রসবকালীন সময় মৃত্যু যন্ত্রনাকে উপেক্ষা করে, মরন কামড়কে তুচ্চো করে,রক্ত গঙ্গায় ভেসে ভেসে সন্তান জন্ম দিলেন,যন্ত্রনাদঙ্ধ মায়ের অবস দেহটা যেন নিথর হয়ে পরে আছে। যে কেউ দেখলে মনে হবে,এটা একটি মৃত্যু লাশ। অতপর নার্স কিংবা দাইমারা মৃত্যু প্রায় মাকে শান্তনা দেয়ার জন্য যখন নবজাতক সন্তানকে মায়ের বুকের কাছে ধরে,মা নিজ নারিছেড়া ধন,নিজ রক্ত মাংশে গড়া সন্তানের গন্ধ পায়। মা বহু কষ্টে দু’ চোখ খুলে যখন সন্তানকে দেখতে পায়,মায়ের ব্যাথায় অবস দেহ,অশ্রুসিক্ত দু’চোখ, নিষ্পলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে প্রিয় সন্তানের দিকে। ওঠ দু’টো কাঁপতে কাঁপতে মনে মনে বলে,বাচারে,আমিতো মরে ই গেছিলাম,মনে হয় তোর জন্যই আল্লাহ আমাকে ফেরৎ পাঠিয়েছেন। দাও দাও ওরে আমার বুকে দাও। অতপর মা তার জীবনের সকল সুখ শান্তি বিসর্জ দিয়ে, সদা সর্বদা একটাই প্রার্থনা করেন,হে আল্লাহ,তুমি আমার জীবনের সমস্ত সুখ শান্তির বিনিময় হলেও,আমার সন্তানটিকে মানুষের মত মানুষ করে দাও। আবার হঠাৎ কোন মায়ের সন্তান অসুস্থ্য হয়ে পরলে,মা রাত জেগে সন্তানের সেবা করে,এমন সময় ডাক্তার কিংবা নার্স এসে বলে,তোমার বাচ্চাটার অবস্থা তেমন ভালনা। তখন মাকে চিৎকার করে বলতে শুনেছি,হে আল্লাহ প্রয়োজনে তুমি আমাকে তুলে নিয়ে যাও,তবু আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দিয়ে যাও। সেই মায়ের স্নেহের প্রতিদান কি এমন হওয়া উচিৎ???? ঘটনাটি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেমনি এক বৃর্দ্ধা মায়ের। যেভাবে আবিস্কার হয় এঘটনা- দশমিনা-বড়গোপালদী রাস্তায় জয়নব বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধাকে চিকিৎসার কথা বলে সড়কে ফেলে রেখে গেছিল তার সন্তানরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে দশমিনা থানা পুলিশ। জয়নব বেগম জেলার বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের জয়গড়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন আকনের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় একমাস আগে জয়নব বেগমকে তার ছেলে আরিফ আকন ও মেয়ে রুনু বেগম চিকিৎসা করানোর কথা বলে একটি অটোভ্যানে নিয়ে আসে। অতপর দশমিনা উপজেলার নির্মানাধীন সার্ভে কলেজের পাশে ফেলে রেখে যান। এরপর থেকে স্থানীয় কিছু লোকজন জয়নব বেগমকে নিয়মিত খাবার দিয়ে আসছিল। তবে তার ঘুমানোর জন্য কোন যায়গা দিতে না পারায়, স্থান হয়েছিল দশমিনা পটুয়াখালী সড়কের পাশে এক পরিত্যক্ত দোকান ঘরে। সম্প্রতি জয়নব বেগমের ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোহাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করে এক স্থানীয় যুবক । বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. জসীম, এস আই মোঃ ইমনসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়নব বেগমকে উদ্ধার করে ভর্তি করান দশমিনা হাসপাতালে । পাশাপাশি তাকে নতুন পোশাক কিনে দেন পুলিশ প্রসাশন। দশমিনা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জয়নব বেগমের চিকিৎসার সব ব্যয়ভার তিনি বহন করবেন। তিনি আরও জানান,বর্তমানে ওই বৃদ্ধা শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল। জয়নব বেগম জানান,সন্তানরা কেন তাকে মিথ্যা কথা বলে সড়কে ফেলে রেখে গেছে তা তিনি জানেন না। তিনি বলেন, যে সন্তানদের নিজের জীবনের চেয়েও আপন মনে করেছি তারা আজ আমার সাথে এরকম আচরন করবে, আমি ———– কান্নায় ভেঙ্গে পরেন জয়নব। দশমিনা থানার ওসি মো. জসীম জানান, জয়নব বেগমের বক্তব্য অনুযায়ী তার ছেলে – মেয়েদের খোঁজ করা হচ্ছে।

দয়া করে খবরটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© ৬৪বাংলা.টিভি, ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed By Madina IT