বিচারের রায় খুুুশি ভয়াল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত মামুনের পরিবারে।
ফয়েজ আহমেদ
-
আপডেট সময়ঃ
শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০
-
৫৬৩
বার পড়া হয়েছে
64bangla tv
একমাত্র ছেলে হত্যার বিচারের রায় কার্যকরের আশায় চোখের জলে দিন গুনছে মামুনের পরিবার। পুত্রসন্তান হারানোর দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন মামুনের বাবা মোতালেব মৃধা ও মা মোর্শেদা বেগম। ২১ আগস্টের সেই ভয়াবহ দিনটির কথা স্মরণ করে আজও তারা বুকফাটা আর্তনাদ করেন। ছেলের কথা বলতে গিয়ে বারবার পাগলের মত প্রলাপ বকেন মা মোর্শেদা বেগম। বাবা মোতালেব মৃধা শোকে নির্বাক হয়ে আছেন।
একমাত্র ভাইকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে আছে মামুনের বোনেরা। শুধু কান্না আর হতাশা নিয়ে বিচারের আশায় চোখের জল নিয়ে বেঁচে আছে মামুনের পরিবার।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে ও তার ভাষণ শুনতে গিয়ে ঘাতকের গ্রেনেড হামলায় নিহত হয় ঢাকার কবি নজরুল ইসলাম কলেজের মেধাবী ছাত্র মামুন মৃধা।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার পশ্চিম আলীপুর গ্রামের দিনমজুর মোতালেব মৃধা ও গৃহিণী মোর্শেদা বেগমের একমাত্র ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে মামুন সবার বড়। ছেলেকে ঘিরে আনেক স্বপ্ন ছিল বাবা-মায়ের।
২০০৩ সালে দশমিনার পশ্চিম আলীপুর ব্রজবালা রায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরিক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয় মামুন। পড়ে ভর্তি হন ঢাকার কবি নজরুল কলেজে।
কিন্তু ২১ আগস্ট ঘাতকের গ্রেনেড হামলায় চুরমার হয়ে যায় মামুনের হতদরিদ্র মা-বাবার স্বপ্ন। মামুনের পরিবারের অভিযোগ, আদালতে ছেলে হত্যার বিচারের রায় হলেও তা কার্যকর করা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মামুনের পরিবারকে ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর ১০ লাখ টাকার অর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। পটুয়াখালী পোস্ট অফিসে জমা রাখা ওই টাকার মুনাফা দিয়ে তাদের সংসার চলে। মামুনের মা মোর্শেদা বেগমের শরীরেও বাসা বেঁধেছে নানা রোগ শোক। আজ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির অন্যতম নেতা,দশমিনা – গলাচিপা আসন থেকে চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী বর্সিয়ান জননেতা আ,খ,ম জাহাঙ্গীর হোসাইনসহ জেলা উপজেলা নেতারা আসছেন মামুনের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। খুশিতে আবেগে আপ্লুত বাবা মোতালেব মা মোর্শেদা। ছেলে হত্যার বিচারে খুশি তারা। তার চেয়েও বেশী খুশি,প্রতি বছর এ দিনে দলীয় নেতাদের খোজ খবরে। কৃতজ্ঞতা জানান মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে। কান্যা বিজড়িত কন্ঠে মা মোর্শেদা বলেন, আমার এক ছেলে নাই, কিন্তু প্রতি বছর হাজারো মামুনেরা আমার পরিবারের খবর নেয়,এতে আমি ও আমার পরিবার খুব খুশি। আমি মা হয়ে দোয়া করি,আল্লাহ শেখ হাসিনাকে নেক হায়াৎ দান করুন।
দয়া করে খবরটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply